বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। এই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া অবধি তার জামিন স্থগিত রাখা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। সোহেল রানার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আলমগীর হোসেন।
সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাভার মডেল থানার মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
এ মামলায় দুই কোটি ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭৯৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় রানার বিরুদ্ধে।
২০১৫ সালের ১ এপ্রিল রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার সম্পদের হিসাব চেয়ে কারাগারে নোটিস পাঠায় দুদক। তখন কারাগার থেকে সম্পদের কোনো হিসাব দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন সোহেল রানা।
এরপর আয়কর বিভাগ থেকে তার সম্পদ ও আয়ের তথ্য সংগ্রহ করা হয়; সম্পদের হিসাবে অসঙ্গতি পাওয়ায় মামলা করা হয় রানার বিরুদ্ধে।
করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার পর এ মামলায় গত ১৭ মে সোহেল রানাকে জামিন দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
সেই জামিন বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করে দুদক। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৮ জুন বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন স্থগিত করে দেয় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদরের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ।
উচ্চ আদালতের নিয়মিত বেঞ্চ চালু হওয়ার (আদালত খোলার পর) পর এক সপ্তাহ পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ থাকবে বলে সেদিন জানিয়েছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক।
খুরশীদ আলম খান সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “তখন একক বেঞ্চ থাকায় আদালত সোহেল রানার জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করতে পারেনি। আজ বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত সোহেল রানার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন এবং রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার জামিন স্থগিত করেছেন।”