তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র সোমবার অনুমোদন করা হয়েছে বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শিগগিরই এই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।”
খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে গত বছরের ২১ অক্টোবর পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে মামলা করে দুদক। পরে কমিশনের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম মামলার তদন্ত করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, খালেদ মাহমুদ ৪২ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককে আট কোটি ৭৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাচার করেছেন।
গত বছরের ১৮ সেপেটম্বর ঢাকার ক্লাবপাড়ায় অভিযান শুরুর প্রথমদিনেই গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে ধরা হয়। তার বাসা থেকে পাওয়া যায় ৫৮৫টি ইয়াবা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং অবৈধ অস্ত্র।
একই সঙ্গে অভিযান চলে ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে। খালেদ ফকিরাপুলের ওই ক্লাবের সভাপতি। কয়েক ঘণ্টার অভিযানে ওই ক্লাবে মদ আর জুয়ার বিপুল আয়োজন পাওয়া যায়। সেখান থেকে ২৪ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় অস্ত্র, মাদক ও মুদ্রাপাচার আইনে খালেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয় গুলশান থানায়। আর মতিঝিল থানায় মাদক আইনে করা হয় আরেকটি মামলা।
তার বিরুদ্ধে এসব মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।