এরপর আবহাওয়ায় ফিরবে উষ্ণতা; শীত আরও পরে আসবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন।
টানা দুদিন কুয়াশা ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় ছিল প্রায় গোটা দেশজুড়ে, সঙ্গে ছিল হালকা বৃষ্টি।
রোববার সকাল থেকে রোদেলা আবহাওয়া হলেও তার মধ্যেই শীতের পরশ টের পাওয়া যাচ্ছিল।
আবহাওয়াবিদ আরিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃষ্টি শেষে মেঘ কেটে উত্তর পশ্চিমের ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে। এটা শীতালু আমেজ। তবে শীত আসবে আরও পরে।
“এখন রাতের তাপমাত্রা কমছে; হিম হিম আবহাওয়া অন্তত দু’দিন দিন থাকবে।”
রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রাম ও সন্দ্বীপে ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আভাস রয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল নাগাদ দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে; দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
সাগরে লঘুচাপ
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পযন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আরিফ বলেন, “লঘুচাপটি অনেক দূরে। এর প্রভাব আমাদের এখানে পড়বে না। লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। তবে আরও ঘনীভূত হওয়ার শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া য়ায় না। কিন্তু তার প্রভাব পড়বে বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায়।”