মারধরে নিস্তেজ আবরারকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেন রবিন ও জিয়ন: সাক্ষী

প্রচণ্ড মারধরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী নিস্তেজ হয়ে পড়লেও শাখার ছাত্রলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান রবিন ও ক্রীড়া সম্পাদক মিফতাহুল ইসলাম জিয়ন তাকে হাসপাতালে নিতে দেয়নি।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2020, 01:11 PM
Updated : 22 Nov 2020, 01:11 PM

আবরার হত্যা মামলার ২৯তম সাক্ষী হিসেবে রোববার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০০৮ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ইসমাইল।

‘শিবির চিনিস তোরা, ওর কিছু হয়নি ও অভিনয় করছে’ বলে ছাত্রলীগের নেতারা তাকে হাসপাতালে নিতে দেয়নি বলে তিনি সাক্ষ্যে তুলে ধরেন।

এদিন ওই হলের মেস বয় আব্দুল কাদের রাষ্ট্রপক্ষের ৩০তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দী দেন।

জবানবন্দি দেওয়ার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা  করেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে ২৫ আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। এরপর ৫ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকতউল্লাহর জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য শুরু হয়। 

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীদের হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ। ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা বরকতউল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন।

গত বছর ১৩ নভেম্বর মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন গোয়েন্দা পু‌লিশের (ডি‌বি) লালবাগ জোনাল টিমের প‌রিদর্শক মো. ওয়া‌হিদুজ্জামান।

মামলার তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

গ্রেফতারদের ম‌ধ্যে ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু ছাড়া বাকি সবাই এজাহারভুক্ত আসামি।

মামলার আট আসামি আদালতে স্বীকা‌রো‌ক্তিমূলক জবানব‌ন্দি দেন। তারা হলেন- ইফতি মোশাররফ সকাল, মিফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদি হাসান রবিন, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মনিরুজ্জামান মনির ও এএসএম নাজমুস সাদাত।

মোর্শেদ অমত্য ইসলাম নামে পলাতক এক আসা‌মি পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জা‌মিন আবেদন করেন। আদালত জা‌মিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

তাই এখন পলাতক রয়েছেন আর তিন আসা‌মি। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এর মধ্যে মোস্তবা রা‌ফিদের নাম এজাহারে ছিল না