‘গোল্ডেন মনির’ নামে পরিচিত এই ব্যক্তি সোনা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত থাকলেও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বলছে, তিনি স্বর্ণ ব্যবসায়ী নন।
মনিরের ছয়তলা বাড়িতে র্যাব-৩ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে শুক্রবার মধ্যরাতে শুরু হয়ে শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চলে।
অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে এই অভিযান চালানোর পর মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-৩ এর অপস অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক।
তিনি বলেন, মনিরের বাড়ি থেকে নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদিশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব অস্ত্র ও মদের পাশাপাশি ৯ লাখ টাকা মূল্যের ১০টি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করেছে।
অস্ত্র, মাদক ও বিদেশি মুদ্রা রাখায় মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ফারজানা।
মনিরের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
মনিরের বাড়িতে পাঁচটি গাড়ি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে তিনটি গাড়ির বৈধ কাগজপত্র নেই বলে সেগুলো জব্দ করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তারা।
মনিরের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার উপর সম্পদের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব। বাড্ডা, নিকেতন, কেরানীগঞ্জ, উত্তরা, নিকুঞ্জে দুইশর বেশি প্লট রয়েছে তার।
র্যাব জানিয়েছে, মনিরের বিরুদ্ধে রাজউকের সিল নকল করে ভূমিদস্যুতার একটি এবং দুদকের একটা মামলা রয়েছে।
নাম উল্রেখ না করে র্যাব জানিয়েছে, মনির একটি রাজনৈতিক দলের ‘অর্থ জোগানদাতা’।