রাত ৮টার মধ্যে দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে: তাপস

দোকান-পাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রাত ৮টার মধ্যে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2020, 07:35 PM
Updated : 18 Nov 2020, 07:35 PM

বুধবার রাজধানীর টিকাটুলিতে শেরে বাংলা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের দশ তলা শেখ হাসিনা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মেয়র বলেন, “আমরা একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় শহরটাকে নিয়ে আসতে চাই। আমরা রাত ৮টার মধ্যে সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট বন্ধ করতে চাই। বহির্বিশ্বে দেখি একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের পরে সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। ৫টা, ৬টা, ৭টা, ৮টা, ৯টা- বিভিন্ন ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক সেই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।

“আমরা মনে করি, ঢাকাবাসীর জন্য ঢাকা শহরের দোকান-পাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করলে আমাদের সামগ্রিক কার্যক্রম একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে পারব।

“রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করা হলে ঢাকা শহর যানজট হতে অনেকটা মুক্তি পাবে। পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারব, সন্তানদেরকে সময় দিতে পারব, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

ব্যারিস্টার তাপস বলেন, “আমাদের সন্তানদেরকে যদি সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হয় তাহলে সকল পিতা-মাতার সন্তানের সাথে সময় দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক সময় সেটা ভুলে যাই, সেটা খেয়াল করি না। আমরা ক্লান্ত হয়ে বাসায় যাই, নিজেদের মতো করে হয়তবা আমরা ঘুমিয়ে পড়ি বা অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই। কিন্তু সন্তানদের সাথে সময় দেওয়া যে কোনো জাতি গঠনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুতরাং সকল কিছু বিবেচনা করে আমরা রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান-পাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার জন্য সময় নির্ধারণ করেছি। এটি কার্যকর করার জন্য আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।”

এর আগে সকালে আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মেয়র তাপস বলেন, “আজকের এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে এই মার্কেটের কাজ আরম্ভ করছি। এখানে ক্ষণগণনা ফলক থাকবে। ইনশাআল্লাহ আমরা নির্দিষ্ট ২ বছর সময়ের মধ্যে এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারি সেজন্য এখানে আমরা ক্ষণগণনা ফলক দিয়ে দেব।”

এ সময় গণশৌচাগার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা এরই মাঝে ওয়ার্ডভিত্তিক কতগুলো গণশৌচাগার প্রয়োজন, কোন কোন ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয়তা বেশি সেটার সমীক্ষা করছি। আমরা প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে অন্ততপক্ষে একটি করে গণশৌচাগার করব। যে সমস্ত এলাকায় জনসাধারণের যাতায়াত বেশি সেখানে আমরা বেশি করে গণশৌচাগার করব। এজন্য আমরা এরইমাঝে প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি এবং প্রকৌশল বিভাগ একটি প্রকল্প প্রণয়নের জন্য সমীক্ষা করছে।”