গাজীপুরের সাবেক মেয়র মান্নানের ১ বছরের সাজা

ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম এ মান্নানকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2020, 04:56 PM
Updated : 18 Nov 2020, 04:56 PM

ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ কামাল হোসেন মঙ্গলবার এ রায় দেন। তবে বিষয়টি সাংবাদিকরা জানতে পারেন বুধবার।

রায় ঘোষণার সময় মান্নান আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। 

এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে মান্নানকে। জরিমানার টাকা না দিলে তাকে আরও তিন মাস জেল খাটতে হবে।

এ মামলায় গোলাম কিবরিয়া নামে আরেক আসামিকে খালাস দেওয়া হয় রায়ে। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কর্মচারী ছিলেন।

হাই কোর্টে আপিল করবেন জানিয়ে মান্নান জামিন আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

দুদকের উপ সহকারী পরিচালক শামসুল আলম ২০১৬ সালের ২৩ জুন গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় মান্নান ও কিবরিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকাকালে ২০১৩ সালের ১৮ অগাস্ট থেকে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৯৯৯টি ভুয়া ভাউচারে অনুদান ও ব্যয় দেখিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ত্রাণ এবং দরিদ্র তহবিল থেকে ৪৯ লাখ ১ হাজার ৮৪৮ টাকা আত্মসাৎ করেন এম এ মান্নান।

আর এ কাজে কিবরিয়া তাকে সহযোগিতা করেছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল।

২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। পরে গাজীপুরের বিশেষ জজ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারের জন্য ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পাঠায়।

২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে দুই আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ ।

বিভিন্ন সময় ছয়জনের সাক্ষ্য শুনে মঙ্গলবার তিনি মান্নানকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন বলে দুদকের আইনজীবী জানিয়েছেন।

বিএনপি নেতা এম এ মান্নান ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। তবে একের পর এক মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় তিনি নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।

কয়েক দফা সরকার তাকে বরখাস্ত করলেও তিনি উচ্চ আদালতের রায়ে মেয়রের চেয়ারে ফেরেন। ওই পাঁচ বছরের মধ্যে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়ে তাকে কারাগারেও যেতে হয়।