মহামারীর মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছি: সজীব ওয়াজেদ

আওয়ামী লীগের এই ১১ বছরের শাসনামলে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’র লক্ষ্য অর্জনে যে অগ্রগতি হয়েছে, তার সুফল করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশবাসী পাওয়ার কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি  উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2020, 07:29 PM
Updated : 17 Nov 2020, 08:00 PM

মঙ্গলবার রাতে ইয়াং বাংলা আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ীদের নাম ঘোষণার পর একথা বলেন তিনি।

করোনাভাইরাস মহামারীতে নয় মাস ধরে বন্ধ স্কুল, তবে লেখাপড়া বন্ধ হয়নি; এভাবে অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হয়ে লেখাপড়া চালিয়ে গেছে রাজধানীর এ জি চার্চ স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরা।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই সম্মিলনে যোগ দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “আজকে যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকত তাহলে কিন্তু আমাদের অর্থনীতি একদম শেষ হয়ে যেত এই কোভিড-১৯ এ। আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশনটা তৈরি করি, ১০ বছর ধরে বাস্তবায়ন করি।

“সে সময়ে হাসাহাসি করেছে, টিটকারি করেছে। তবে সেটার লাভ আজকে আমরা পাচ্ছি, এ বছরে পাচ্ছি। কোভিড-১৯ হোক আর যাই হোক, আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা দেশের কাজ চালিয়ে নিতে পারব।”

চলতি বছর মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়।  সংক্রমণ ঠেকাতে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হয়। সেই সময় থেকে শুরু করে সরকার  প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক নানা কর্মকাণ্ড ভার্চুয়ালি পরিচালনা করছে। এই মহামারীর মধ্যে ঘরে বসেই শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানা জরুরি সেবা পাচ্ছে জনগণ। ঘরে বসেই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে যাবতীয় কেনাকাটা এবং অনলাইনেই অর্থ পরিশোধ ও গ্রহণ করতে পারছে।

এর সুফল নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “আমাদের সরকার দেশ চালিয়ে যাচ্ছে ভার্চুয়ালি। আমরা আমাদের কাজ ভার্চুয়ালি করে যাচ্ছি। পাঁচ বছর আগে, দশ বছর আগে এটা কি কেউ কল্পনা করতে পারত, বাংলাদেশে এটা সম্ভব? কেউ কল্পনা করতে পারত না। এটার জন্য আমি নিজেই গর্বিত, ডিজিটাল বাংলাদেশের এটাই লাভ ও ফলাফল।”

করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি কিছুটা কমে এলেও তা এখনও ‘পজিটিভ’ আছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেন, “আমরা যদি অর্থনীতির দিক দিয়েও দেখি, যেহেতু আমরা প্রস্তুত ছিলাম, যেহেতু আমরা সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছি সেহেতু আমাদের অর্থনীতিতে, হ্যাঁ, বিগত বছরগুলো থেকে আমাদের অর্থনীতি একটু অগ্রগতি কমেছে। তাও আমাদের অর্থনীতি এখনও পজিটিভ আছে। আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।

“যদি আপনি ইউরোপের অর্থনীতির অবস্থা, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির অবস্থা দেখেন, তারা কিন্তু সবাই এ বছর পিছিয়ে গেছে। কারণ তারা প্রস্তুত ছিল না। তারা তাদের নিজেদের যে মেধাবী ডাক্তার, তাদের কথা শুনে নাই। এই হচ্ছে যোগ্য নেতৃত্ব ও ব্যর্থ নেতৃত্বের মধ্যে পার্থক্য।”

আওয়ামী লীগ সরকার করোভাইরাস পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত ভালোভাবে ’ মোকাবেলা করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বিশ্বের ধনী দেশগুলোর তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি।

“এটা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না, এটা বিশ্বের সমস্যা- কোভিড-১৯। কিন্তু দেখেন, বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকার শুরু থেকে আমরা কিন্তু মেধা দিয়ে, পরিশ্রম দিয়ে, প্রিপারেশন নিয়ে আমরা কিন্তু মোকাবেলা করে গেছি। আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমতায় থাকবে, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকব।”