মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক দিলে সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছর

মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে বিক্রি করলে সাত বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে নতুন আইনের খসড়া সংসদে পাস হয়েছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2020, 03:30 PM
Updated : 16 Nov 2020, 03:30 PM

সেমাবার মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ‘মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) বিল- ২০২০’ সংসদে পাশের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পিত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

গত ৮ জুলাই বিলটি সংসদের তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

নিরাপদ মাছের উৎপাদন নিশ্চিত করতে মৎস্য খামারিদের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধানও বিলে রাখা হয়েছে।

মৎস্য পণ্যে ভেজাল দিলে বা খামারে নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করলে অন্যূন দুই বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ ৮ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে খসড়া আইনে।

১৯৮৩ সালের এ সংক্রান্ত আইনটি রহিত করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে সামরিক শাসনামলের আইনগুলোকে নতুন করে বাংলায় করা হচ্ছে।

বিলে মৎস্যের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে ‘সকল প্রকার কোমল ও কঠিন অস্থি বিশিষ্ট মৎস্য, সাদু ও লবণাক্ত পানির চিংড়ি, উভচর জলজপ্রাণী, কচ্ছপ, কুমির,কাঁকড়া জাতীয় প্রাণী, শামুক, ঝিনুক, ব্যাঙ এবং এসব জলজপ্রাণীর জীবন্ত কোষকে মৎস্য হিসেবে গণ্য করা হবে’।

পাস হওয়া বিলে মৎস্য ও মৎস্যপণ্যে ভেজাল, অপদ্রব্যের মিশ্রণ ও অনুপ্রবেশ করানো এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিলটি পাস হওয়ায় এখন থেকে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় তাজা মাছ প্রক্রিয়া করতে হবে। পচা, দূষিত, ভেজাল ও অপদ্রব্য মিশ্রিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বাজারজাত করা যাবে না।

আইন অমান্য করলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরিদর্শক বা পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা কোনো ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রশাসনিক জরিমানা করতে পারবেন।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রেতাদের পণ্যের গুণগত ও প্রক্রিয়াগত মানসম্পর্কিত চাহিদা, রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বহুমুখীতা এবং আন্তর্জাতিক আজারের বিস্তৃতি ও প্রতিযোগিতা ইত্যাদি মোকাবেলায় বিদ্যমান অধ্যাদেশের সীমবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়।”