কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা দুটি দায়ের করেন বলে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত সাংকাদিকদের জানান।
সাজ্জাদ হোসেন বরকত ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক এবং ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি।
ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তিনি ‘অবৈধ উপায়ে’ ৪৪ কোটি ৪৯ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩২ টাকার ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত’ সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুদকে দাখিল করা সম্পদের হিসাব বিবরণীতে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৫৫ হাজার ৬৫২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য তিনি গোপন করেছেন।
সাজ্জাদ হোসেন বরকতের বিরুদ্ধে মামলয় অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ‘অবৈধ উপায়ে’ ২৮ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ১৭০ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। এছাড়া দাখিল করা সম্পদের বিবরণীতে ১৭ কোটি ৯০ লাখ ৩ হাজার ১৪১ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
তারা দুজনেই দুদকে দাখিল করা সম্পদের হিসাব বিবরণীতে অর্থের উৎস ও খাতের ‘মিথ্যা’ তথ্য দিয়েছেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরাধ আইনের ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে এ দুটি মামলায়।
গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লা বাড়ি সড়কে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলা হয়।
১৮ মে সুবল সাহা এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। ৭ জুন রাতে বরকত ও রুবেলকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনে দুই ভাইয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেয় আদালত।
তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, হত্যা, চাঁদাবাজি, চুরি এবং অর্থপাচারের অভিযোগে আরো আটটি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন