আত্মসমর্পণ করে শোয়েব চৌধুরীর জামিন

এক্সিম ব্যাংক ও নাসা গ্রুপের দায়ের করা মানহানি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন দি এশিয়ান এজ পত্রিকার এডিটরিয়াল বোর্ডের চেয়ারম্যান শোয়েব চৌধুরী।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2020, 01:18 PM
Updated : 11 Nov 2020, 01:18 PM

বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আতিকুল ইসলাম ১ হাজার টাকা মুচলেকায় তাকে জামিন দেন।

পরোয়ানার প্রেক্ষিতে এদিন আদালতে আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস ও কল্যাণ কুমার সাহার মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান শোয়েব চৌধুরী।

২০১৯ সালের ২৪ অক্টেবর দি এশিয়ান এজ পত্রিকায় ‘এ মনস্টার বিহাইন্ড স্পয়েলিং ব্যাংকস’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। নাসা গ্রুপ ও এক্সিম ব্যাংককে জড়িয়ে প্রতিবেদনে মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে- এমন অভিযোগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।

২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর এক্সিম ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান চৌধুরী ও নাসা গ্রুপের পরামর্শক সিরাজুল ইসলাম একই বছরের ১১ নভেম্বর বাদী হয়ে এশিয়ান এজের শোয়েব চৌধুরীসহ পত্রিকার ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মানহানি মামলা করেন।

এক্সিম ব্যাংকের মামলার আর্জিতে বলা হয়, প্রতিবেদনে ব্যাংককে শেয়ার মার্কেটে একটি দুর্বল ব্যাংক হিসেবে দেখিয়ে মিথ্যা তথ্য ও সংবাদ পরিবেশন করা হয়।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষণ (ইনস্পেকশন) করা থেকে বিরত রেখেছে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক সময়ে সময়ে এবং নিয়মিত নিরীক্ষা টিমের মাধ্যমে অত্র বাদী ব্যাংকে নিরীক্ষা চালিয়ে এই ব্যাংককে ক্যামেলস রেটিং ‘ফেয়ার’ চিহ্নিত করেছে।

সংবাদে আরও বলা হয়েছে, বড় অংকের রহস্যজনক লোন ও খেলাপি ঋণ রয়েছে, যা সঠিকভাবে নিরীক্ষিত হলে এক্সিম ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে। প্রতিবেদনের এমন বক্তব্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চেয়ারম্যানসহ ও অন্যান্যদের মানহানি হয়েছে।

নাসা গ্রুপের মামলার আর্জিতে বলা হয়, এই গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম মজুমদার ওই গ্রুপের ৫৫টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার বর্তমান সম্পদ মূল্য প্রায় ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওই গ্রুপের ব্যবসায়িক টার্ন ওভার চারশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ওই মিথ্যা প্রতিবেদনের মাধ্যমে বাদীর সুনামহানি করে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এমন অভিযোগে এই মামলাটি করা হয়।

মামলা দায়েরের পর আদালত অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেনে। চলতি বছর জুনের প্রথম দিকে পিবিআই পাঁচজন আসামিকে বাদ দিয়ে শুধু শোয়েব চৌধুরীকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানার প্রেক্ষিতেই বুধবার তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন।