এদিকে দেহরক্ষী জবানবন্দি দিলেও ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম রিমান্ড শেষে গেছেন কারাগারে।
দু’দফায় ৫ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার ইরফান ও জাহিদকে ঢাকার আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মবিনুল হক।
জাহিদুল মোল্লা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন জানিয়ে তা নিতে আবেদন করেন তিনি। আর ইরফানকে কারাগারে আটক রাখতে তিনি আবেদন করেন।
ঢাকার মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমান চৌধুরী তার খাস কামরায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর জাহিদকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
আদালত পুলিশের কমর্কর্তা এসআই আশরাফ উদ্দিন বলেন, “নিজেকে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন জাহিদুল মোল্লা। অন্য কাকে জড়িয়েছে কি না বলতে পারব না।”
ইরফান সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ বলেন, “যা হলো আমাদের জন্য ভালই হলো। আসল ঘটনা বেরিয়ে আসুক।”
এদিকে হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে ইরফান সেলিমের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী প্রাণনাথ। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে কলাবাগান এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় হাজী সেলিমের একটি গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। ওয়াসিফ সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন।
তখন গাড়িতে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার কয়েকজন সহযোগী ছিলেন। তার সহযোগীরা গাড়ি থেকে নেমে ওয়াসিফকে কিল-ঘুষি মারেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
মামলার পর গ্রেপ্তার হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমান এবং ইরফানের সহকারী এবি সিদ্দিকী দিপুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।