যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ছয় কোটি ৪০ লাখ ৩১ হাজার ৮০০ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নানের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের আটটি লাইট, দুটি কবলেশন মেশিন ও ভেন্টিলেটরসহ দুটি অ্যানেস্থেশিয়া মেশিন প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কেনার মাধ্যমে এই দুর্নীতি হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রাথমিক তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
হাসপাতাল পরিচালকের বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, “আপনার এহেন কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯ পরিপন্থী এবং সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতি হিসেবে গণ্য।”
অসদুপায় অবলম্বন ও দুর্নীতির জন্য উত্তম কুমার বড়ুয়ার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উত্তম কুমার বড়ুয়া ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে চান কিনা তাও মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়েছে।
একই ঘটনায় হাসপাতালের নিওরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৌমিত্র সরকার এবং নেফ্রোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রতন দাস গুপ্তের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় মামলা করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
সৌমিত্র সরকার ওই কেনাকাটায় বাজারদর যাচাই কমিটির সভাপতি এবং রতন দাস গুপ্ত সদস্য ছিলেন।
তারা এসব যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ‘সঠিকভাবে বাজার যাচাই না করে অতিরিক্ত দাম নির্ধারণ’ করায় সরকারের ছয় কোটি ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।