নবাব পরিবারের সন্তান পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৬

রাজধানীতে নবাব পরিবারের সন্তান ও মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2020, 07:30 PM
Updated : 29 Oct 2020, 07:47 PM

গ্রেপ্তাররা হলেন- নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী (৪৮), মো . রাশেদ ওরফে রহমত আলী ওরফে রাজা (৩৪), মীর রাকিব আফসার (২০), মো. সজীব ওরফে মীর রুবেল (৩৩), মো. আহম্মদ আলী (৩৮) ও মো. বরকত আলী ওরফে রানা (৩২)।

সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম  জানান, মোহাম্মদপুর থানায় গত ২৪ অক্টোবর বিদেশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করার অভিযোগে একটি মামলা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ৫০০ লোক নিয়োগ দেওয়া হবে মর্মে মামলার বাদীকে বিদেশ যেতে আগ্রহী ৪০০ লোক সংগ্রহ করতে বলেন নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী।

তার কথায় বিশ্বাস করে বাদী বিদেশ গমনে আগ্রহী এ রকম ৪০০ লোকের কাছ থেকে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করে তাকে দেন। টাকা পেয়ে কাউকে বিদেশে না পাঠিয়ে বাদীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি।

তৌহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির ইকোনমিক ক্রাইম অ্যান্ড হিউম্যান ট্রাফিকিং টিম।

এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত নবাব পরিবারের এ্যাম্বুশ সীল, ওয়াকিটকি সেট, বেতারযন্ত্র, ভিওআইপি সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, একাধিক মোবাইল, সিমকার্ড, মেডিকেল রিপোর্ট ও পাসপোর্টের কপি ও বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানির লিফলেট উদ্ধার করা হয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ১০ কোটি টাকার বেশি প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্রের প্রধান গ্রেপ্তারকৃত নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী নিজেকে নবাব সলিমুল্লাহ খাঁনের নাতি হিসেবে পরিচয় দেন।

“পারিবারিক সম্পর্কের দাবি করে বিভিন্ন লোকের কাছে গণভবনে তার অবাধ যাতায়াত বলে প্রচার করে। তার দুবাইয়ে আছে গোল্ডের কারখানা। বাবা ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, থাকেন নিউ ইয়র্কে। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের মালিকানায় অংশীদার রয়েছে বলে ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে। বাবার ব্যবসা সে নিজেই দেখে। ফেইসবুক প্রোফাইলে মন্ত্রী-এমপিসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি উঠায়। পরবর্তী সময়ে সেই ছবি প্রতারণার কাজে ব্যবহার করে।”