বৃহস্পতিবার বিকেলে মালদ্বীপের বিদায়ী দূত বঙ্গভবনে যান বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, মালদ্বীপ বাংলাদেশের খুবই ভালো বন্ধু। বাংলাদেশ মালদ্বীপের সাথে সম্পর্ককে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বিভিন্ন ইস্যুতে অভিন্ন মনোভাব পোষণ করে এবং একে অপরকে সমর্থন ও সহযোগিতা করে থাকে।”
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে সমন্বিতভাবে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি দুই দেশের পর্যটন খাতের বিকাশে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রপতি সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য মালদ্বীপের বিদায়ী হাই কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।
মালদ্বীপের বিদায়ী হাই কমিশনার বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ থেকে খাদ্য, ওষুধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়ার জন্য তিনি মালদ্বীপ সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানান
পরে ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং নেপালে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দীন নোমান চৌধুরী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
ইন্দোনেশিয়া ও নেপালে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির দিকনির্দেশনা ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।