৬৪ জেলায় ই-পাসপোর্ট ১০ নভেম্বর থেকে

আগামী ১০ নভেম্বর থেকে দেশের সব জেলায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হবে বলে জানিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2020, 03:26 PM
Updated : 29 Oct 2020, 03:26 PM

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রমের একটি প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়।

ওই প্রতিবেদেন বলা হয়, বর্তমানে ৪৭টি জেলায় এ সেবার সম্প্রসারণ কাজ চলমান রয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়।

ই-পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের ১১৯তম দেশ বলে সরকারের পক্ষ থেকে সেই সময় জানানো হয়।

বাংলাদেশে হাতে লেখা পাসপোর্ট থেকে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট বা এমআরপি প্রবর্তনের পর এক দশকও পার হয়নি। কিন্তু এমআরপির ডেটাবেইজে ১০ আঙুলের ছাপ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় এক ব্যক্তির নামে একাধিক পাসপোর্ট করার ঘটনা দেখা যায়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিক ভোগান্তি কমাতে এবং একজনের নামে একাধিক পাসপোর্ট করার প্রবণতা বন্ধ করতে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) চালু করতে উদ্যোগী হয় সরকার। ২০১৮ সালের ২১ জুন প্রকল্পটি একনেকের সায় পায়।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ওই বছরের জুলাইয়ে জার্মান কোম্পানি ভেরিডোসের সঙ্গে চুক্তি করে পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদপ্তর। সোয়া তিন হাজার কোটি টাকায় বাংলাদেশকে ই-পাসপোর্ট ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করছে তারা।

ই-পাসপোর্ট নামে পরিচিত বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যাতে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনা বসানো থাকে। এ পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাসপোর্টের ডেটা পেইজ ও চিপে সংরক্ষিত থাকে।

এদিকে বৈঠকে উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আগে এবং চূড়ান্ত পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার আগে ডোপ টেস্ট/বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও দেশের সব গাড়ি চালককে ডোপ টেস্টের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়।

ইতোমধ্যে পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট শুরু করায় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

এছাড়া বৈঠকে জানানো হয় ‘ডোপ টেস্ট বিধিমালা ২০২০’ প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বৈঠকে চলমান মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখাসহ দেশে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ায় কথিত কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়াসহ তাদের সংশোধনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, মো. আফছারুল আমীন, মো. হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ অংশ নেন।

বৈঠকের শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।