আবরার হত্যামামলায় বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের সাক্ষ্য

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2020, 05:03 PM
Updated : 28 Oct 2020, 05:03 PM

রাষ্ট্রপক্ষের অষ্টাদশ সাক্ষী ড. মিজান বুধবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্য দেন।

জবানবন্দি দেওয়ার পর এই ‍শিক্ষককে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।

জেরার উত্তরে ড. মিজান বলেন, তিনি রাত সাড়ে ৩টায় ঘটনাস্থল শেরে বাংলা হলে উপস্থিত হয়েছিলেন। রাত ৪টা ২০ মিনিটে বুয়েটের চিকিৎসক মাসুক এলাহী মৃত ঘোষণা করেন আবরারকে।

একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ আসার আগে আবরারের লাশ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরানো হয়েছিল।

আসামি সামশুল আরেফিন রাফাত, মাজেদুর রহমান মাজেদের আইনজীবী রেজাউল করিম সরকার বলেন, আফরার রহমান রাফাত নামের একজন বুয়েট ছাত্রলীগে রয়েছেন। সাক্ষী তাকে চেনেন কি না?

উত্তরে ড. মিজান বলেন, এটা তার জানা নেই।

এদিকে আসামি মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলামের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বিচারককে বলেন, তিনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং বুয়েটের চিকিৎসকের সাক্ষ্যের অডিও-ভিডিও উচ্চ আদালতে জমা দিতে চান।

এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, জেরার উত্তরে না জানার দায় এড়াতে আঙুলে বিভিন্ন রকমের তাচ্ছিল্যের মুদ্রা ব্যবহার করে অভব্য উত্তর দেন ওই সাক্ষীরা।

বিচারক এ কথা শুনে গেলেও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী পিটিয়ে হত্যা করে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে।

আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ কুষ্টিয়া থেকে এসে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। এক মাস পর ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

আসামিদের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।