বুধবার দুপুরে শাহবাগ থেকে টিএসসি যাওয়ার পথে গ্রন্থাগারের পেছনের খোলা জায়গায় লাশটি দেখে নিরাপত্তাকর্মীদের জানান পথচারীরা।
তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম এসে শাহবাগ থানায় খবর দিলে এসআই আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিয়ে যায়।
শিশুটিকে যারা উদ্ধার করেছেন, তারা একে ছেলে শিশু বলে শনাক্ত করতে পারার কথা জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, দুয়েকদিন আগে কেউ এখানে এটা ফেলে গেছে।
“এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে এটা একটা অমানবিক কাজ। আমরা বিষয়টি জানার সাথে সাথেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।”
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) মাহবুবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মনে হচ্ছে এটা ছয়-সাত মাসের ভ্রুণ। কিছুটা পচে গেছে। মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ফরেনসিক রিপোর্টের সুরতহাল পর্যবেক্ষণ করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
আইনগত কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যদি এটা ম্যাচিউরড হয়, তাহলে মার্ডার মামলা হবে। আর যদি ম্যাচিউরড না হয়, তাহলে আমরা জিডি করে রেখে দিই, পরে তদন্ত করে তথ্য পেলে ভ্রুণ হত্যার মামলা করা হয়।”
এর আগেও বেশ কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে, টিএসসি এলাকা থেকে মানবভ্রূণ উদ্ধার করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসে কেন বারবার তা পাওয়া যাচ্ছে- প্রশ্নে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে-পাশ হসপিটাল জোন। এখানে ঢাকা মেডিকেল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল, পাশে বারডেম। কেউ এখানে এসে ফেলে গেলে তখন আর কিছু করার থাকে না। তবে বিষয়টা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি আমরা।”