ওই মামলায় ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা ও প্রটোকল কর্মকর্তা এবি সিদ্দিক দিপু ধানমণ্ডি থানা হেফাজতে রয়েছেন।
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় ইরফান সেলিম ও জাহিদুলকে বুধবার তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
ধানমণ্ডি জোনের পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, “মামলাটি আজ রাতে না হলেও আগামীকাল সকালে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
তিনজনকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জানালেও জিজ্ঞাসাবাদে তারা কী বলেছেন তা জানাননি পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহিল কাফি।
এদিকে র্যাবের দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলাতেও ইরফান, জাহিদুলকে সাতদিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে চকবাজার থানার ওসি মওদুত হাওলাদার জানিয়েছেন।
পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজায় কারাগারে যাওয়ায় ইতোমধ্যে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
গত রোববার রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় সোমবার ধানমণ্ডি থানায় ইরফান ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
ওই ঘটনার সোমবার ঢাকার সোয়ারিঘাটের দেবী দাস লেনের হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। তল্লাশিতে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও ওয়াকিটকি পাওয়ায় কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
মদ্যপান করায় সে সময় ইরফানকে এক বছর এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর তার দেহরক্ষী জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে চকবাজার থানায় ওই দুইজনের বিরুদ্ধে চারটি মামলাও করা হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
ইরফানের কাছ থেকে একটি অবৈধ একটি পিস্তল ও এয়ারগান উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে এবং কয়েক বোতল মদ পাওয়ায় মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
একইভাবে জাহিদের কাছ থেকে একটি অবৈধ পিস্তল উদ্ধারের অভিযোগে অস্ত্র আইনে এবং ৪০৬টি ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগে মাদক আইনে মামলা হয়েছে।