মহামারীর কারণে পৌরসভার ভোট পেছাবে না: ইসি

চলতি বছরের শেষের ও পরের বছরের শুরুর দিকে নির্ধারিত পৌরসভা নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2020, 02:41 PM
Updated : 27 Oct 2020, 02:41 PM

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণ দেখিয়ে ভোট পেছাতে অনেকের আবেদনের মধ্যে মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশের মোট ৩২৯টি পৌরসভার মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই ভোট করা প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি।

স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। সেবার ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়।

আসন্ন ভোটকে সামনে রেখে ইসি গেল মাসে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে (প্রথম সভা, শপথ গ্রহণের তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের সময় ইত্যাদি) পৌরসভার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চায়।

পৌরসভা নির্বাচনের তথ্য

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার সময়

পৌরসভা

নির্বাচন উপযোগী

মামলা জটিলতা

সীমানা জটিলতা

মার্চ, ২০২১

২৬১

২৩৫

১৫

১১

এপ্রিল, ২০২১ বা তারপর

৬৮

৫৬

মোট

৩২৯

২৯১

২৩

১৫

ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত তালিকাও কমিশনের কাছে এসেছে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানান, সামনে পৌরভোটের জন্য প্রস্তুতি গোছানোর মধ্যে অনেক জনপ্রতিনিধি করোনাভাইরাসের কারণে ভোট না করার জন্য আবেদন, তদবির ও যোগাযোগ করছেন। সব বিবেচনা করে যথাসময়ে পৌর নির্বাচনে ইসির পদক্ষেপ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের মধ্যে ভোট নিয়ে অনীহা প্রকাশ করে বিভিন্ন পক্ষ থেকে অন্তত শ খানেক আবেদন জমা পড়েছে বলে ধারণা করছেন ইসি কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১ সালের প্রথম দিকে অনেক পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে। এসব পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আিইন অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

স্থানীয় সরকার পৌরসভা আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।

“করোনা মহামারীর কারণে পৌরসভা নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী পৌরসভাগুলোর সাধারণ নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।”

সর্বশেষ ২০১৫ সালে ২৪ নভেম্বর পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৩৬ দিন সময় দিয়ে ভোটের তারিখ দেওয়া হয় ৩০ ডিসেম্বর। এক দিনে ভোট হয় ২৩৪টি পৌরসভায়। বাকিগুলোয় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বিবেচনায় ও বিভিন্ন জটিলতা সেরে ভোট হয়।

মার্চে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আটকে যায়। পাশাপাশি সংসদের শূন্য আসনের ভোট বিশেষ পরিস্থিতিতে পরবর্তী ৯০ দিনে ভোট করা হয়।

ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে- অক্টোবর থেকে আটকে থাকা স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো শুরু হবে। নভেম্বর থেকে নির্বাচন উপযোগী সব নির্বাচন যথাসময়ে করা হবে।

২১ মার্চের পর ১৪ জুলাই, ২৬ সেপ্টেম্বর , ১৭ অক্টোবর সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন হয়েছে।

১০ অক্টোবর ও ২০ অক্টোবর স্থানীয় সরকারের সাধারণ ও উপ নির্বাচন হয়েছে।

১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ উপ নির্বাচন রয়েছে।