নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর: হাজী সেলিমের গাড়ি চালক রিমান্ডে

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি চালক মিজানুর রহমানকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2020, 12:46 PM
Updated : 26 Oct 2020, 12:46 PM

ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান সোমবার পুলিশের আবেদনের শুনানি করে এই আদেশ দেন।

মিজানকে এদিন আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপক্ষের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি করেন হেমায়েত উদ্দিন খান হীরণ।

রোববার রাতে মারধরের ওই ঘটনার পর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান সোমবার ধানমণ্ডি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, প্রোটকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু, মোহাম্মদ জাহিদ এবং গাড়ি চালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে সেখানে আসামি করা হয়। মামলা হওয়ার আগেই গাড়ির চালক মিজানুর রহমানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

এজাহারে বলা হয়, লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কলাবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি কালো রঙের ল্যান্ড রোভার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৭৩৬) পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।

ওয়াসিফ ও তার স্ত্রী ধাক্কা সামলে মোটরসাইকেল থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ওই গাড়ি থেকে জাহিদ, দিপু এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিনজন ‘অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ’ করতে করতে নেমে আসে এবং ‘মারধর’ শুরু করে।

তারা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ ও তার স্ত্রীকে ‘উঠিয়ে নেওয়ার এবং হত্যার’ হুমকি দেয় বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

ওই ঘটনার পরে একজন প্রত্যক্ষদর্শী মোবাইল ফোনে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফের বক্তব্য ধারণ করেন, যা ইতোমধ্যে ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

সেখানে নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তাকে রক্তাক্ত মুখে বলতে শোনা যায়, তিনি পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে মারধর করা হয়েছে, তার স্ত্রীর গায়েও ‘হাত দিয়েছে’।

মামলায় মোট পাঁচটি ফৌজদারি অপরাধের ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হল- দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় বেআইনিভাবে জোট বেঁধে অপরাধমূলক বল প্রয়োগ, ৩৪১ ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ৩৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার কাজে বাধাদানের উদ্দেশে আহত করা, ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার ওপর বল প্রয়োগ এবং ৫০৬ ধারায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া।