কোভিড-১৯: দেশে শনাক্ত রোগী ৪ লাখ ছাড়াল

দুই মাসে আরও এক লাখ রোগী শনাক্ত হওয়ায় দেশে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2020, 09:30 AM
Updated : 26 Oct 2020, 02:48 PM

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৪৩৬ রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে; তাতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ২৫১ জনে।

আর গত এক দিনে এ ভাইরাসে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের মোট সংখ্যা পৌছছে ৫ হাজার ৮১৮ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৪৯৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জন হয়েছে।

শনাক্ত রোগীর সংখ্যার বিচারে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অষ্টাদশ স্থানে আছে; আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে সাড়ে ১১ লাখ ৫৪ হাজারের ঘরে।

 

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছিল তিন মাস পর গত ১৮ জুন; তার ঠিক এক মাস পর ১৮ জুলাই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে যায়।

এর পরের এক লাখ রোগী শনাক্তে নয় দিন বেশি সময় লাগে। ২৬ অগাস্ট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়ানোর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর পরের দুই মাসে সেই তালিকায় যোগ হল আরও এক লাখ নাম।

এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ।

গত দুই মাসে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমে এলেও সেই সঙ্গে পরীক্ষার সংখ্যাও কমেছে। ফলে এই পরিসংখ্যান কতটা প্রকৃত চিত্র দিচ্ছে তা নিয়ে সংশয় আছে বিশেষজ্ঞদের কারও কারও মধ্যে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১১টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২২ লাখ ৭১ হাজার ৩৪৭টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ১০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

দেশে প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৯ জন, নারী ৬ জন। তাদের মধ্যে ১৪ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

মৃতদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

১০ জন ঢাকা বিভাগের এবং ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ২ জন বরিশাল ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৮১৮ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৪৮০ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৩৩৮ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৫৪৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭২৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩২১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৩১ জনের ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে ৩ হাজার ৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ১৫৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৭০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৬৪ জন খুলনা বিভাগের, ১৯৮ জন বরিশাল বিভাগের, ২৪২ জন সিলেট বিভাগের, ২৬১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১২১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

পুরনো খবর