অ্যামপ্লিফাই চেইঞ্জের অর্থায়নে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার আয়োজন করে রেডঅরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ফর এক্সেসিবিলিটি ভাস্কর ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় বিভিন্ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার এবং ওয়াশ নিয়ে কাজ করছেন এমন এনজিও প্রতিনিধি ও গবেষকরা অংশগ্রহণ করেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল চলমান উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে কী কী উপায়ে প্রতিবন্ধী কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তা খুঁজে বের করা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের আলোচনায় বেশ কিছু করণীয় বিষয় উঠে আসে। যেমন- প্রতিবন্ধী কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে প্রতিটি স্কুল-কলেজ এমনকি জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত উদ্যোগী হতে হবে এবং তা যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে অংশগ্রহণকারী এনজিও প্রতিনিধিরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগগুলো গ্রহণ করবেন বলে জানান।
ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, “প্রতিবন্ধী কিশোরীদের প্রতিবন্ধিতার ধরণ অনুযায়ী তাদের জন্য শিক্ষা উপকরণ প্রস্তুত করা প্রয়োজন, তা না হলে মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার যাবতীয় সব তথ্য সবার বোধগম্য হবে না।”
রেডঅরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্ণব চক্রবর্তী বলেন, “প্রতিবন্ধী কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি কখনই আমরা আলাদা করে ভাবি না। এই বিষয়ে কার্যকরী কোনো উদ্যোগও নেই। ‘আলোর যাত্রা’র মাধ্যমে আমরা প্রতিবন্ধী কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র পরিবরতনে কাজ করছি। তবে এ বিষয়ে সমষ্টিগতভাবে কাজ করা প্রয়োজন।”
‘আলোর যাত্রা’ প্রকল্পটি প্রতিবন্ধী কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক বিভিন্ন ক্যাম্পেইন ও অ্যাডভোকেসি করছে।