দুর্বল হচ্ছে নিম্নচাপ, কমল সংকেতও

বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম করছে। একই সঙ্গে বৃষ্টি ঝরিয়ে নিম্নচাপটি দুর্বল হতে থাকায় সমুদ্রবন্দরে চার নম্বর সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2020, 07:23 AM
Updated : 23 Oct 2020, 07:23 AM

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাওসার পারভীন শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে বলেন, নিম্নচাপটি বেলা ১২টা থেকে সাগরদ্বীপের পাশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। সন্ধ্যার মধ্যে তা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে।

আবহাওয়াবিদ কাওসার পারভীন জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, মংলা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা থেকে ২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

“চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক স্থানে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।”

অধিদপ্তরের সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম বা তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার এবং গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

নিম্নচাপের প্রভাবে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় খেপুপাড়ায় ২৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।এ সময় ঢাকায় ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।