জবানবন্দিতে হত্যার স্বীকারোক্তি: নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

এক ‘মৃত’ ব্যক্তির ফিরে আসার আগে চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় করা মামলায় দুই আসামিকে নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2020, 08:26 PM
Updated : 22 Oct 2020, 08:26 PM

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।

আগুনে পোড়া এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত বছরের ২১ এপ্রিল চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

সে মামলায় দুর্জয় আচার্য ও জীবন চক্রবর্তী নামে দুজনকে গত বছরের ২৫ ও ২৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের মধ্যে জীবন ১৬৪ ধারায় ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে জীবন বলেন, দিলীপ নামের এক ব্যক্তিকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে বস্তায় ভরে ফেলেন তিনিসহ আসামিরা। কিন্তু বস্তার ভেতর দিলীপ নড়েচড়ে উঠলে তারপিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে দেওয়া হয়।

কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত বছরের ২ মে চট্টগ্রামের আদালতে দিলীপ নামের ব্যক্তিকে হাজির করেন। এরপর আদালত দিলীপকে নিজ জিম্মায় দেন।

পরবর্তীতে বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন করেন এই মামলার আসামি দুর্জয় আচার্য। তবে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

পরে ওই নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন দুর্জয়। দুর্জয়ের এই জামিন আবেদনের শুনানির সময় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ‘মৃত’ ব্যক্তির ফিরে আসার প্রসঙ্গে ওঠে।

তখন হাই কোর্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল্লাহকে মামলার কেস ডকেট (নথিপত্র) নিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে দিলীপকেও আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়।

উচ্চ আদালত সেদিন চট্টগ্রাম কারাগারে থাকা দুই আসামি জীবন চক্রবর্তী ও দুর্জয়কেও আদালতে হাজির করতে বলে।

বৃহস্পতিবার তারা হাজির হলে আদালত তদন্ত কর্মকর্তা, দুই আসামি ও দিলীপের বক্তব্য শুনে এই আদেশ দেয়।

আদালত আসামি দুর্জয়কে আচার্যকে জামিন দিয়েছে।

আদালতে দুর্জয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

পরে ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, “নিম্ন আদালতে হাজির করার কয়েকদিন আগে তাদের আটক করা হয় বলে জানান দুর্জয় ও জীবন। তাদেরকে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা। এরপর হাই কোর্ট তাদের নির‌্যাতনের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেয়।”