দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিকের অন্তর্বর্তীকালীন প্যাকেজ হস্তান্তর

চার বছরের বেশি বয়সি শিশুদের জন্য দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্যাকেজ হস্তান্তর করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2020, 04:48 PM
Updated : 22 Oct 2020, 04:48 PM

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের কাছে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহা এই প্যাকেজ হস্তান্তর করেন।

প্যাকেজ অনুযায়ী ২০২১ সালে নির্বাচিত দুই হাজার ৬৩৩টি ক্লাস্টারের একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার বছরের বেশি বয়সি শিশুদের জন্য দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে।

আর ২০২২ সালে দেশের সবগুলো সরকারি প্রাথমিক অর্থাৎ ৬৫ হাজার ৬২০টি বিদ্যালয়ে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু হবে বলে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে পরবর্তী পর্যায়ের মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের সংযোগ রয়েছে। প্রাক- প্রাথমিক শিক্ষা ছোট ছোট শিশুদের শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধবৃত্তিক, ভাষাগত ও সামাজিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

এছাড়া সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০-এ দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮ অনুযায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণীত কর্মপরিকল্পনায় প্রাক-প্রাথমিক স্তর এক বছর থেকে দুই বছরে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার বছরের বেশি বয়সের শিশুদের জন্য দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর বিষয়টি অনুমোদন করেন।

২০১০ সালে অন্তর্বর্তীকালীন প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঁচ বয়সের বেশি বয়সি শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়।

সেই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষক্রমের ভিত্তিতে ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের জন্য দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন প্যাকেজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান, ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কুররাতুল আয়েন সফদার এবং গবেষণা কর্মকর্তা মো. আবুল বাসার উপস্থিত ছিলেন।