বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ: দণ্ডিতের সঙ্গে বাদীর বিয়েতে আদালতের সায়

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের এক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং বাদীর মধ্যে বিয়েতে সায় দিয়ে কারাফটকে তার আয়োজন করতে রাজশাহী কারাগারের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2020, 04:16 PM
Updated : 22 Oct 2020, 05:00 PM

বাদী ও আসামি উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।

দণ্ডিত আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে বাদীর উপস্থিতিতে আদালতের এই আদেশ আসে।

এই মামলায় দণ্ডিত আসামি ও বাদী দুজন সম্পর্কে খালাত ভাই-বোন, তাদের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে মেয়েটিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন আসামি। মেয়েটি অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেন তিনি।

তখন মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে সালিশের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে মীমাংসা না হওয়ার পর ওই বছরের ২৫ অক্টোবর ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করে মেয়েটি।

এ মামলায় আসামির বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন করা হয়।

বিচার শেষে ওই বছরের ১২ জুন রায় দেয় আদালত। রায়ে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায়ে অনুযায়ী, মেয়েটি যখন ধর্ষিত হন, তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর।

২০১২ সালে রায়ের পর থেকে কারাগারে থাকা আসামি সম্প্রতি হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন।

বৃহস্পতিবার সেই আবেদনের শুনানিতে তার আইনজীবী এস এম শাহেদ চৌধুরী বলেন, “ভিকটিম এখানে (কোর্টে) আছেন। তারা বিয়ে করতে সম্মত। জামিন পেলে তাদের মধ্যে বিয়ে হবে।”

তখন আদালত আসামিকে জামিন না দিয়ে কারাফটকে বিয়ের আয়োজন করতে কারা তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেয়।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।