ভিয়েতনামফেরত মো. রহমানের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও ফুয়াদ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পি।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া পরে সাংবাদিকদের বলেন, ভিয়েতনাম ফেরত ৮১ জন ও কাতার ফেরত দুইজনসহ মোট ৮৩ জন প্রবাসী শ্রমিক গত অগাস্ট মাসে দেশে ফেরার পর তাদের এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
পরে ১ সেপ্টেম্বর তাদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয় এবং ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠায়।
তাদের বিরুদ্ধে জিডিতে বলা হয়, এই ৮৩ ব্যক্তি বিভিন্ন মেয়াদে বিদেশে জেল খেটে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। পরবর্তীতে জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা একটি দরখাস্ত দিয়ে আদালতে সংশোধনী প্রার্থনা করেন। সেখানে বলা হয়, ভিয়েতনামফেরত ৮১ জনের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের মামলা বা বিদেশে সাজা খাটার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। কাতারফেরত দুজনের বিষয়ে তথ্য আছে। এরপরও বেশ কয়েকবার তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। বর্তমানে ৮৩ জনই জামিনে মুক্ত আছেন।
“আজ ভিয়েতনামফেরত মো. রহমান উচ্চ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ ‘এ’ ধারায় তুরাগ থানার জিডির যাবতীয় কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আবেদন করলে মাননীয় আদালত দুই সপ্তাহের রুল জারির পাশাপাশি জিডির যাবতীয় কার্যক্রম পরবর্তী তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।”
মধ্যপ্রাচ্যফেরত ২১৯ জনের বিরুদ্ধে চলমান জিডির কার্যক্রম বাতিলের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে কেসের নথিসহ (কেস ডকেট) নিয়ে আগামী ৫ নভেম্বর আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ মামলার সাথে ভিয়েতনামফেরত ব্যক্তিদের মামলা একসাথে চূড়ান্ত শুনানি করার প্রস্তুতি নিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান এ আইনজীবী।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর এই ৮৩ বাংলাদেশির মুক্তির প্রশ্নে রুল জারি করেছিল হাই কোর্টের আরেকটি বেঞ্চ।