দাফনের আগে নড়ে ওঠা শিশুটিকে বাঁচানো গেল না

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর দাফন করার আগে নড়েচড়ে ওঠা শিশুটিকে বাঁচানো গেল না।

কবরস্থান থেকে ফিরে আসার পাঁচ দিন পর বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় শিশুটি মারা গেছে বলে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন। শিশুটিকে হাসপাতালের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ নম্বর শয্যায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

শিশুটিকে মৃত ঘোষণার পর তার বাবা ইয়াসিন মোল্লা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার জান আর নাই। আল্লাহ নিইয়া গেছে।”

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালেঙ্গা গ্রামের ইয়াসিন মোল্লা ও শাহিনুর বেগমের দ্বিতীয় সন্তান ছিল শিশুটি। গত শুক্রবার অস্ত্রোপচার ছাড়াই তার জন্ম হয়।চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করলে বাবা ইয়াসিন তাকে মোহাম্মদপুরের বসিলা কবরস্থানে দাফন করতে নিয়ে যান।

দাফনের আগে শিশুটি নড়েচড়ে উঠলে দ্রুত তাকে ফিরিয়ে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

‘ভালো আছে’ দাফনের আগে নড়ে ওঠা শিশুটি, নামও পেয়েছে  

শনিবার তার বাবা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার সন্তান ‘ভালো আছে’। হাসপাতালের নিওনেটাল ওয়ার্ডে ভর্তি আছে।

মেয়েটির নাম ‘মরিয়ম’ রাখার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।

কীভাবে জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হল, তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি করার কথাও ওই দিন জানিয়েছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশও করেছিলেন তিনি।

এর আগে ২০১৫ সালেও ঢাকা মেডিকেলে মৃত ঘোষণার পর দাফনের আগে এক নবজাতকের নড়ে ওঠার ঘটনা আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সেই শিশুটিকেও পরে হাসপাতালে ফিরিয়ে এনে চিকিৎসা দিয়েও বাঁচানো যায়নি।