এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ১০ মাসের বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন পত্রিকাটির সম্পাদক আবুল আসাদ।
সম্প্রতি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় বুধবার সন্ধ্যার পর মগবাজারে সংগ্রামের কার্যালয় থেকে রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. ওয়ালিদ হোসেন জানিয়েছেন।
সংগ্রামের প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজী বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের বিএনপি-জামায়াতপন্থি সাংবাদিকদের অংশের সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ফাঁসি কার্যকর করা হয় ‘মিরপুরের কসাই’ খ্যাত কাদের মোল্লার। সেই দিনের স্মরণে গত বছর ১২ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক সংগ্রামের প্রথম পাতায় ‘শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার ৬ষ্ঠ শাহাদাত বার্ষিকী আজ’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
এর প্রতিবাদে পরদিন ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সংগ্রাম পত্রিকার কয়েকটি কপি পোড়ান ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। বিকালে দৈনিক সংগ্রামের কার্যালয় ঘেরাও ও ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধরা।
দৈনিক সংগ্রামের কার্যালয়টি জামায়াত-শিবিরের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে অভিযোগ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পত্রিকাটির ‘ডিক্লারেশন’ বাতিলের দাবি জানানো হয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে।
ওই ঘটনার পর সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে ওই রাতেই হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আফজাল ওই থানায় মামলা দায়ের করেন।
দণ্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা এ মামলায় আবুল আসাদ ও রুহুল আমিন গাজী ছাড়াও পত্রিকাটির বার্তা সম্পাদক সাদাত হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনকে আসামি করা হয় মামলায়।
ওই মামলায় এখনও কারাগারে আছেন সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ। গত মাসে হাই কোর্ট তাকে এক বছরের অন্তর্বর্তী জামিন দিলেও তা আটকে দেয় আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।