মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের এবার কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে তা জানাতে এসে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “যারা চাকরি হারিয়েছেন বা আয়-রোজগার হারিয়েছেন তাদেরকে বলব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মানবিক আচরণ করবেন এবং তাদেরকে যতটা সম্ভব ছাড় দেওয়া, না হলে কিস্তিতে টিউশন ফি পরিশোধ করাসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা হতে পারে।
“উভয় পক্ষকে আন্তরিকতার সঙ্গে সন্তানদের শিক্ষা চালিয়ে নেবার জন্য নিজেদের সামর্থ মতো যা কিছু করা সম্ভব তা করার জন্য বার বার আমি আহ্বান জানাচ্ছি, আমি আবারও জানাব। আমাদের সন্তানদের যেমন শিক্ষা চালিয়ে নিতে হবে, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চালু রাখতে হবে, আমাদের শিক্ষকদেরও জীবন-জীবিকার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কাজেই ঢালাওভাবে বেতন বাদ দিয়ে দেওয়া বা এখন বেতন দেওয়া হবে না, এ জাতীয় কোনো সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না।”
দীপু মনি বলেন, “টিউশন ফি শিক্ষার্থীদের দেওয়ার কথা, স্কুল তো চলতে হবে। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বার বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলেছি, অভিভাবকদেরও বলেছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে তার মানে এই নয় যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খরচ বন্ধ আছে।
“কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি দিতে হচ্ছে। বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আরও যেসব খরচ আছে- শুধু হয়তো প্রতিদিনকার বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল লাগছে না কিন্তু আরও বহু খরচ তাদের লাগছে। সকলেই যেহেতু অনলাইনে ক্লাস করাচ্ছে সেক্ষেত্রেও তাদের অতিরিক্ত কিছু খরচ হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও চলতে হবে। কোনো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য একটা বিরাট সমস্যা তৈরি হবে। এরকম হয়ে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর সমস্যা হবে। কাজেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও চালু রাখতে হবে শিক্ষকদেরও জীবন-জীবিকা চালিয়ে নিতে হবে। তাদেরও তো পরিবার রয়েছে, তাদেরও তো আয়-রোজগারের বিষয়টি রয়েছে।”
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যেসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা খুবই বিপদে পড়েছেন, যারা সরকারি চাকরিজীবী অভিভাবক তাদের তো আয়-রোজগারের কোনো সমস্যা হয় নাই। যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত আছেন এবং বেতন পাচ্ছেন তাদেরও সমস্যা নাই। সমস্যা হচ্ছে যারা হয়তো চাকরি হারিয়েছেন বা ব্যবসা করতেন যে, একেবারেই এই সময়টায় বন্ধ ছিল, তাদের সমস্যা এবং যারা স্থানান্তরিত হচ্ছেন তাদের সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাক্সেস করার সমস্যা।”
মহামারীর মধ্যে বিপাকে পড়ে যারা এক এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় গেছেন সেসব শিক্ষার্থীরা নিকটবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আপাতত যুক্ত থাকতে পারবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।