পরীক্ষা না হলেও সমাপনী সনদ পাবে অষ্টমের শিক্ষার্থীরা

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না হলেও অষ্টম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে সমাপনী সনদ দেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2020, 08:43 AM
Updated : 21 Oct 2020, 08:48 AM

মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের এবার কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে তা জানাতে এসে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ তথ্য জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সনদ ও বৃত্তির বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানিয়ে দেব। তবে এখন এটুকু বলতে পারি- ক্লাস এইটে তারা এবার পরীক্ষা দিত, পরীক্ষা দিলে তারা একটি সনদ পেত। এবার তারা পরীক্ষা না দিয়েই পরবর্তী ক্লাসে যাচ্ছে, সেজন্য তারা সনদ পাবে না, তাতো নয়।

“কারণ এর মধ্যে কারো কারো জন্য জেএসসির সনদটি খুব জরুরি হতে পারে। কাজেই তাকে সনদটি দেওয়া হবে। এবার যেমন সবাই পরবর্তী ক্লাসে চলে যাচ্ছি, সেভাবেই আমরা সনদে উল্লেখ করব। সে যে কৃতকার্য হয়েছে বা সে যে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শেষ করেছে সেটি উল্লেখ থাকবে।”

২০১০ সাল থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হচ্ছে। এতদিন এই সনদ কোনো কাজে না লাগলেও মহামারীর মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা না নিয়ে এবার অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলে ভিত্তিতে এইচএসসির ফল দেওয়া হবে।

বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য- এই তিন বিভাগের মধ্যে কে কোন বিভাগে ভর্তি হবে সেই সিদ্ধান্ত অষ্টম শ্রেণি পাস করে নিতে হয়।

এনিয়ে এক প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “অভিভাবক এবং শিক্ষকরা দেখছেন তাদের অ্যাসেসমেন্ট। তারা যে বিভাগে যেতে চাইবে সেভাবে দেওয়া হবে। তারপরও সমস্যা দেখা দিলে খুব বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হলেই ভালো। শিক্ষার্থীরা যেন যতেটা সম্ভব লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেন।”

দীপু মনির ভাষ্য, “আমরা উন্নত দেশ হতে চাই, উন্নত বিশ্বের অংশ হতে চাই। উন্নত বিশ্বের যে শিক্ষা ব্যবস্থা সেখানে কিন্তু প্রত্যেক ক্লাসে, স্কুলে গ্রেডিং, পরীক্ষা পাস করছে, ফেল করছে, ভালো হচ্ছে, জিপিএ-৫ পাচ্ছে- সএই ধরনের সব জিনিস নিয়ে উন্মাদনাটি নেই।

“কাজেই আমরা একদিকে আধুনিক হব, উন্নত বিশ্ব হওয়ার কথা ভাবছি, শিক্ষা ব্যবস্থায়ও কিন্তু সেটির দিকে আমাদের যেতে হবে। শিক্ষার্থীরা শিখনফল অর্জন করল কি না, সেটি শুধুমাত্র কিন্তু বছরের শেষে বা মাঝখানে কতগুলো পরীক্ষা দিয়ে মূল্যায়ন করা যায় তা কিন্তু নয়। আরও বহু ধরনের মূল্যায়নের পদ্ধতি রয়েছে, আমরা এখন ধারাবাহিক সেই মূল্যায়নের পদ্ধতি যেগুলো আছে সেগুলোতে যেতে চেষ্টা করছি এবং শিক্ষার্থীদের কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে, সামগ্রিক কারিকুলামের কোথায় দুর্বলতা আছে আমরা সেগেুলো চিহ্নিত করে দুর করতে চাই।”

দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতি, পরীক্ষার চাপ, শারিরীক, মানসিক চাপ- আমরা এগুলো চাই না। আমরা চাই আনন্দময় শিক্ষাজীবন, যেখানে তার জ্ঞানপিপাসু জন্মাবে এবং আনন্দের মধ্য দিয়ে শিখবে এবং জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করে যোগ্য মানুষ হবে।”