পাম্প কেনায় দুর্নীতি: পাউবোর প্রধান প্রকৌশলীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নদী সেচ প্রকল্পের আওতায় পাম্প কেনায় প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী চৌধুরী নজমুল আলমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2020, 08:28 AM
Updated : 21 Oct 2020, 08:28 AM

বুধবার কমিশনের হবিগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান মামলাটি করেন বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

পাউবোর যান্ত্রিক সরঞ্জাম বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী চৌধুরী নজমুল আলম ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- পাউবোর পাবনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও সাবেক প্রকল্প পরিচালক এস এম শহিদুল ইসলাম, ঢাকা যান্ত্রিক (পাম্প হাউস ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান, ঢাকার কেন্দ্রীয় যান্ত্রিক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবু তালেব।

এছাড়া ঢাকা যান্ত্রিক (পাম্প হাউজ) বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম গোলাম সরওয়ার, পাউবোর নকশা সার্কেল-৩ (যান্ত্রিক) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্বাছ আলী, ডিজাইন সার্কেল-১ ঢাকার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল বাছিত ও চাঁদপুর যান্ত্রিক উপ-বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রুহুল আমিনকে আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিগমা ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সৈয়দ আরশেদ রেজা এবং জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. আব্দুস সালামকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের সহায়তায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে মৌলভীবাজারের মনু নদীর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন প্রকল্পের জন্য প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে পাম্প ক্রয় করেন।

যেখানে সরকারের ৩৪ কোটি ৪২ লাখ ১৭ হাজার ১৯৬ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে প্রকল্পের আওতায় বসানো আটটি পাম্পের প্রকৃত মূল্য পাওয়া যায় ২০ কোটি ৪১ লাখ ৭ হাজার ৬০৩ টাকা। যেখানে বিল হিসেবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে ৫৪ কোটি ৮৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৯৯ টাকা।

এসব কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।