মঙ্গলবার রাতে এই অভিযানে ১৩ জন শিক্ষার্থীসহ ২৪ জনকে আটকের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মোট ২৪ জনকে আটক করা হয়েছিল। প্রথমবার আটক করার কারণে তাদের সতর্ক করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও বাইরের লোক ছিল। তবে তাদের কাছে কিছু পাওয়া যায়নি।”
অভিযানে অংশ নেওয়া কয়েকজন জানান, আটকদের মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বাকিরা নিজেদের চাকরিজীবী বললেও প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষার্থীসহ ছয় শিক্ষার্থী রয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুইজন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) একজন এবং ঢাকা কলেজের একজন রয়েছেন। অপর একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অভিযানের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে মাদকাসক্তদের কথা জানতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী যুক্ত থাকায় পুলিশ আমাদের সহযোগিতা চায়। পরে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রক্টর বলেন, “আমাদের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে মাদক সরবরাহকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। পুলিশের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।”