তাদের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর মঙ্গলবার চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি বুধবার রায়ের জন্য রাখে।
আদালত দুদকের পক্ষে রুল শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মানিক পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়া। হাই কোর্ট তাদের জামিন না দিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রুল জারি করে।
“কেন তাদের জামিন দেওয়া হবে না, সেই প্রশ্নে দুই সপ্তাহের রুল ছিল। সে রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল রায় ঘোষণা করবে আদালত। এ দুই ভাই জামিন পাবেন কি পাবেন না, তা বুধবার জানা যাবে।”
গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর দুই ভাই এনু-রূপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে সিন্দুক ভর্তি টাকা ও গহনা জব্দ করার পর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম এবং এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। সব মিলিয়ে ওই অভিযানে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণালঙ্কার এবং ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র্যাব।
এরপর দুদক তাদের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান শেষে গত বছর ২৩ অক্টোবর ৩৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এর মধ্যে এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। সেই এজাহারে বলা হয়, এনু ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
আর দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে রূপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন, তাতে ‘অসৎ ও অবৈধ পন্থায় নামে-বেনামে’ ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ১৫ জুন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ দুই ভাইয়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে তারা হাই কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে হাই কোর্ট গত ১৫ সেপ্টেম্বর তাদের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে।