সোমবার বিএমএ ভবনে আয়োজিত এই সভায় চিকিৎসক নেতা, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মালিক সমিতির নেতারা অংশ নেন।
পরে বিএমএর দপ্তর সম্পাদক ডা. মোহা. শেখ শহীদ উল্লাহ স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএমএ জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে চিকিৎসকদের বিশেষায়িত পদে প্রশাসন ক্যাডার ও অন্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পদায়ন করায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
“এধরনের পার্শ্বপ্রবেশ দ্রুত বন্ধ করা এবং ইতোমধ্যে যাদের পদায়ন করা হয়েছে তাদের প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়েছে।”
পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে জরুরিভিত্তিতে দেশের প্রত্যেক জেলা বিএমএ ও স্বাচিপের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথ সভার সিদ্ধান্তু হয়েছে সভায়।
ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিএমএর সাবেক সভাপতি ডা. মো. সোহরাব আলী ও ডা. রশীদ-ই-মাহবুব, বিএমএ সাবেক মহাসচিব ডা. মো. শফিকুর রহমান ও ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপ সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, বিসিপিএসের সাবেক সভাপতি ডা. মো. সানোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. শাহ মনির হোসেন ও ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক, বিএমডিসির সভাপতি ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ অংশ নিয়েছেন।
এছাড়া বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ. পরিবার পরিকল্পনা সরকারী চিকিৎসক সমিতি. সোসাইটি অব ল্যাপারোস্কোপিক সার্জনস অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে বিএমএ।
মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন বিএমএ মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী।
বাংলাদেশে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে থাকা নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ক্ষোভ রয়েছে।
স্বাস্থ্যখাতের বড় পদগুলোতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের রাখা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসক কর্মকর্তাদের উপেক্ষা করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে রোববার অভিযোগ করেছেন চিকিৎসক নেতারা।
রোববার ঢাকার একটি হোটেলে সোসাইটি অব সার্জনস অব বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে চিকিৎসক নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সমস্যার সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আন্দোলনে নামবেন তারা।