৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: রিমান্ড শেষে ফের কারাগারে আবজাল

৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মী আবজাল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2020, 02:41 PM
Updated : 19 Oct 2020, 02:41 PM

সোমবার সাত দিনের রিমান্ড শেষে আবজালকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে দুদক।

ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২ সেপ্টেম্বর দুই মামলায় আবজালের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় সাত দিন রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। পরের দিন ২০ সেপ্টেম্বর আবজালকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

২৬ আগস্ট আবজাল আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত বছরের ২৭ জুন দুদক উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কার্যালয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানিলন্ডারিং এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন। মামলা দুটির মধ্যে একটিতে আবজাল হোসেন একা আসামি এবং অপর মামলায় তার স্ত্রী রুবিনা খানম যৌথ আসামি।

মামলা দুটিতে আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় দীর্ঘসময় ধরে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে ২৮৪ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২০৭ টাকার মানিলন্ডারিং অপরাধের অভিযোগও করা হয়েছে।

আবজালের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি দুদকে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে দুই কোটি ২ লাখ ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে। আবজালের স্ত্রী রুবিনা খানম ও আবজালকে যৌথভাবে আসামি করে করা মামলায় ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার সম্পদের কথা বলা হয়েছে।

আবজাল হোসেন দুদকের কাছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় বলা হয়, আবজালের নামে থাকা সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদের পরিমাণ বেশি।  অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এজাহারে আবজালের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকার মানিলন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকার মানিলন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে।