আর্থিক বিষয়ে ‘ঊনিশ-বিশ’ নয়: ইউজিসি চেয়ারম্যান

জনগণের অর্থে পরিচালিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2020, 12:34 PM
Updated : 18 Oct 2020, 12:34 PM

তিনি বলছেন, “ইচ্ছেমতো আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর্থিক বিষয়ে অনিয়ম হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইউজিসি মিলনায়তনে রোববার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাজেট সংক্রান্ত দুই দিনব্যাপী সভার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন অধ্যাপক শহীদুল্লাহ। সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়ম সহ্য করা হবে না। আর্থিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আর্থিক নিয়ম শতভাগ অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলেন, “এক্ষেত্রে উপাচার্য যদি আর্থিক বিষয়ে আউট অব লাইন করেন, আপনাদের (কোষাধ্যক্ষ এবং অর্থ হিসাব বিভাগের পরিচালক) দায়িত্ব প্রথমে বিষয়টি তাকে অবহিত করা। এরপরও উপাচার্য যদি কোনো অনিয়ম করেন তাহলে এর দায়ভার তাকেই নিতে হবে।

“যদি বিশেষ প্রয়োজন হয় কিংবা কাজটি করার ক্ষেত্রে আপনাদের (কোষাধ্যক্ষ এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক) ওপর চাপ থাকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ইউজিসির পরামর্শ ও অনুমোদন নিয়ে কাজটি সম্পাদন করতে পারেন।”

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, শুধু বাজেট তৈরি করলেই হবে না, বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

বাজেট বাস্তবায়নে এক খাতের বরাদ্দকৃত অর্থ আরেক খাতে ব্যয় অগ্রহণযোগ্য, মনে করিয়ে দেন তিনি।

বাজেট বাস্তবায়নে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোষাধ্যক্ষ এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালককে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক স্বাধীনতা আর আর্থিক স্বাধীনতা এক নয়। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব আইন, নীতিমালা ও বিধি-বিধান রয়েছে। এগুলো পূর্ণমাত্রায় মেনে চলতে হবে।”

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের পেনশন সংবিধি তৈরি, মাস্টার রোল, চুক্তি ভিত্তিক, দৈনিক ভিত্তিক, সিকিউরিটি গার্ড ও আনসার পদে নিয়োগ বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর ও অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ এবং কমিশনের সচিব ফেরদৌস জামান সভায় বক্তব্য দেন।

প্রথম দিনের সভায় ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক এবং বাজেট কর্মকর্তারা অংশ নেন।