সিটি করপোরেশনের পাঁচটি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার ডোবা-নালা, খাল ও লেকে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১০টি অঞ্চলে ওষুধটি দেওয়া হবে।
শনিবার উত্তরা ১১ নম্বর সেকটরে মসকিটন ছিটানো শুরু করেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। এ সময় সেখানে ছিলেন সিটি করপোরেশনের উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডা. মো. গোলাম মোস্তফা সারোয়ার।
“আমাদের ৬২৯টি হটস্পট রয়েছে। এসব জায়গায় আমরা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওষুধ ছিটাব। এর মধ্যে সবগুলো এলাকা শেষ করতে না পারলে সময় আরও বাড়বে।”
চতুর্থ প্রজন্মের ওষুধ ‘নোভালিউরন’ একটি আইজিআর (ইনসেক্ট গ্রোথ রেগুলেটর)। এটা মশার বৃদ্ধি আটকে দেবে, লার্ভাকে পূর্ণাঙ্গ মশা হতে দেবে না। ট্যাবলেট আকারের ওই ওষুধ পানিতে ব্যবহার করতে হয়। ডিএনসিসি এই ওষুধের নাম দিয়েছে মসকিটন।
‘স্লো রিলিজ ফর্মুলেশন’র এই ট্যাবলেট পানিতে রেখে দিলে ধীরে ধীরে মূল উপাদানটা পানিতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মশার লার্ভার বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। লার্ভা পূর্ণাঙ্গ মশায় রূপ নিতে পারে না।
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রয়োগের আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের তত্ত্বাবধানে তিন মাস ধরে নোভালিউরনের পরীক্ষামুলক প্রয়োগ হয়েছে। একই সময় ডিএনসিসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়ও ওষুধটির প্রয়োগ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।