‘ভালো আছে’ দাফনের আগে নড়ে ওঠা শিশুটি, নামও পেয়েছে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর দাফন করার আগে নড়েচড়ে ওঠা শিশুটির নাম মরিয়ম রেখেছে তার পরিবার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2020, 02:53 PM
Updated : 17 Oct 2020, 02:53 PM

শিশুটির বাবা ইয়াসিন মোল্লা শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সে এখন ভালো আছে। এখনও নিওনেটাল ওয়ার্ডে আছে।”

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালেঙ্গা গ্রামের ইয়াসিন ও শাহিনুর বেগমের দ্বিতীয় সন্তান মরিয়ম। তাদের প্রথম সন্তানের নাম ইসরাত জাহান।

ঢাকা মেডিকেলে শুক্রবার ভোরে অস্ত্রোপচার ছাড়াই এই শিশুটির জন্ম হয়। জন্মের পরপরই ওই নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে তার বাবা ইয়াসিনের হাতে তুলে দেন চিকিৎসক। দাফনের জন্য মেয়েকে বসিলা কবরস্থানে নিয়ে যান ইয়াসিন। সেখানেই শিশুটি নড়ে ওঠে।

পরে দ্রুত শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন ইয়াসিন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন (ফাইল ছবি)

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা জানেন যে, সব সময় আমাদের এখানে শিশু জন্ম নিচ্ছে। অনেক ক্রিটিকাল শিশুও জন্ম নিচ্ছে এবং আমরা সেগুলো ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।

“আমরা অনেক জটিল এবং জীবনের হুমকি সম্পন্ন এমন মা ও শিশুর চিকিৎসা দিচ্ছি এবং তাদের জীবন রক্ষা করছি। আমাদের একটা শক্তিশালী দল রয়েছে।”

এই শিশুর বিষয়টিকে ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “তারপরও আমরা বলেছি, আমাদের যে চিকিৎসকরা এটার সঙ্গে দায়িত্বে ছিলেন তাদের কোনো গাফিলতি রয়েছে কি না, তাদের কোনো পেশাগত ঘাটতি ছিল কি না তা আমরা দেখব।

“যদি দায়িত্বহীন আচরণের কিছু পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আমাদের যে সকল বিধি-বিধান সে অনুযায়ী তার শাস্তি পেতে হবে।”

এর আগে ২০১৫ সালেও ঢাকা মেডিকেলে মৃত ঘোষণার পর দাফনের আগে এক নবজাতকের নড়ে ওঠার ঘটনা আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সেই শিশুটিকে পরে হাসপাতালে ফিরিয়ে এনে চিকিৎসা দিয়েও বাঁচানো যায়নি।

হাসপাতালের পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, “এর আগে যে ঘটনা ঘটেছে, দেখেন সে চিকিৎসক কিন্তু আর নেই। সে তার চাকরি হারিয়েছে এবং সে বাংলাদেশে নেই, বিদেশে চলে গিয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমরা এই ঘটনাটা দেখব যে, এটা কেন হয়েছে। উনার কতটুকু ব্যর্থতা ছিল। সে ব্যর্থতা কি পেশাদারিত্বের অভাবে না অন্য কোনো কারণে হয়েছে?

“এই বিষয়টা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের বিষয় গ্রহণযোগ্য নয়। আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি পরিবারের কাছে এবং পরিবারকে আশ্বস্ত করেছি যে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।”