দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যান্টিজেন কিট আমদানি বেআইনি: জাফরুল্লাহ

সরকার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে অ্যান্টিজেন কিট আমদানি করে বেআইনি কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2020, 08:11 PM
Updated : 15 Oct 2020, 08:11 PM

নতুন করোনাভাইরাস শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট সরকার অনুমোদন না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের এই সদস্য বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ধানমণ্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে কয়েকটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে এই মন্তব্য করেন।

জাফরুল্লাহ বলেন, “গণস্বাস্থ্য সবার আগে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি কিট আবিষ্কার করেছে। এই কিট সরকার আমেরিকার গবেষণাগারে পরীক্ষা করাতে বলে।

“তখন আমি সরকারকে বোঝাই, আমি তো আমার দেশের মানুষের জন্য এই কিট বানিয়েছি। চারটি দেশে অ্যাম্বাসেডরের সঙ্গে আমি ফাইট করেছি। বলেছি, এটা আমাদের দেশের ব্যাপার ভালো হলে ভালো, খারাপ হলে খারাপ, তুমি কেন মাথা ঘামাও?

“তখন আমাদের কিটের বিষয়ে নতুন একটা কন্ডিশন দেওয়া হল, আমেরিকা অথবা সুইডেনের তৃতীয় পক্ষের একটা ল্যাবে পরীক্ষা করতে হবে। সেখানে আমাদের প্রায় আরও এক কোটি টাকা খরচ করতে হবে।”

জাফরুল্লাহ বলেন, “সরকার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যে অ্যান্টিজেন কিট আমদানি করছে, সেগুলো আমেরিকার গবেষণাগারে পরীক্ষা করেনি।

“এখন কথা হচ্ছে আমাকে যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে, দক্ষিণ কোরিয়াকেও তো সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বেলায় তো তারা সেই নীতি অনুসরণ করছে না। এটা একেবারে বেআইনি কাজ করছে সরকার।”

দক্ষিণ কোরিয়ার কিট আমদানির ক্ষেত্রে ‘টাকা-পয়সার বিষয় জড়িত’ বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুর দিকেই দেশীয় প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস কোভিড-১৯ শনাক্তের ‘র‌্যাপিড’ কিট উদ্ভাবনের খবর দেয়। কিন্তু ‘মানোত্তীর্ণ’ হয়নি বলে সেই কিটের অনুমোদন দেয়নি সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

দেশে ওয়ার্ক পারমিট না থাকায় গত মাসে সিঙ্গাপুর ফিরে গেছেন এই কিটের উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীল, যিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানে গবেষণা করছেন।

করোনাভাইরাস শনাক্তে বাংলাদেশ এতদিন শুধু আরটিপিসিআর পদ্ধতি চালু রেখেছিল। তবে পরীক্ষায় গতি আনতে এখন অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমোদন দিয়েছে।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শিগগিরই অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে ২ লাখ কিট ‘দুই-একদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে’ জানালেও তা কোত্থেকে আসবে তা জানাননি তিনি।