রোজার ঈদের পর গত ২৮ মে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল ১৭ মে, সেদিন ১৪ জনের মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৬০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
আর সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৬০০ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫৫৯ জন হল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৭৮০ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৯৯ হাজার ২২৯ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৮৫ লাখ পেরিয়ে গেছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১০ লাখ ৯২ হাজারের ঘরে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ষষ্ঠদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০৯টি ল্যাবে ১৪ হাজার ১০৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২১ লাখ ২৬ হাজার ৫৫২ টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ০৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৭ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৯ জন, নারী ৬ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৩ জনের বয়স ছিল ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জন করে মোট ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
তাদের ৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ২ জন খুলনা ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৬০৮ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৩১৪ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ২৯৪ জন নারী।
তাদের মধ্যে ২ হাজার ৮৯১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৪৯৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭০৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩১৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১২৬ জনের ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ২ হাজার ৮৬৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ১২৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৬০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৫৩ জন খুলনা বিভাগের, ১৯৩ জন বরিশাল বিভাগের, ২৩৯ জন সিলেট বিভাগের, ২৫৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ১১৮ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
পুরনো খবর