সোমবার নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তদন্তে দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় আদিতমারি উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জুয়েল বাবু এবং সদর থানা নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এস এম আজম শাহীর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস’ (আইডিইএ) প্রকল্পের জুনিয়র কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সদর উপজেলার নির্বাচন অফিসার মো. আজাদুল হেলাল রোববার রাতে দুই ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।
ওই দুই ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত জুনে তারা বিনা অনুমতিতে ছুটির দিনে ‘পরস্পর যোগসাজশে’ অনিবাসী/ঠিকানাবিহীন এক ব্যক্তিকে ‘অবৈধভাবে’ ভোটার করার চেষ্টা করেন।
“পরে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে তারা স্বীকার করেন, অর্থের প্রলোভনে পড়ে তারা গোপনে ভোটারদের ডেকে এনে নিবন্ধন করেছেন।”
বিভিন্ন ‘অনৈতিক কাজে’ জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৮ বছরে মোট ৩৯ জনকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা এবং কালো তালিকাভুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।