এরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা।
ঢাকার মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়া সোমবার তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুপুরে এই দুজনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে কোতয়ালি থানার ওই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রী গত ২৩ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন, অপহরণ করে ধর্ষণ ও সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে চরিত্র হননের অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোতোয়ালি থানায় এই মামলা করেন। একই ঘটনায় দুদিন আগে লালবাগ থানায় একটি মামলা করেছিলেন তিনি।
মামলায় ৪ নম্বর আসামি সাইফুল এবং ৫ নম্বর আসামি নাজমুল। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরও এই মামলার আসামি।
আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এর মধ্যে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে অনশন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সেই ছাত্রী।
এরপর রোববার রাতে রাজধানীর মগবাজার ও আজিমপুরে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামি সাইফুল ও নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”