ইলিশ এখন মানুষের হাতের নাগালে: মৎস্যমন্ত্রী

এক সময়ে দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাওয়া ইলিশ এখন মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণীসস্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2020, 10:01 AM
Updated : 12 Oct 2020, 10:01 AM

সোমবার সচিবালয়ে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শ ম রেজাউল করিম এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, “মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা নিয়ে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময়সীমা ২২ দিন করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।”

এ ধারা অব্যাহত রাখতে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ ধরা সস্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণীসস্পদ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের ৮০ শতাংশের বেশি ইলিশ বাংলাদেশের নদ নদী মোহনা ও সাগর থেকে আহরিত হয়। সারাবিশ্বে ইলিশ আহরণে বাংলাদেশ শীর্ষে। অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক সুন্দর ও বড় আকারের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।”

“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ইলিশ সম্পদ রক্ষা ও উন্নয়নে সময়োপযোগী এবং বাস্তবমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ইলিশ একসময় দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছিল এখন ইলিশ মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে। বাংলাদেশে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে এবছর ইলিশ উৎপাদিত হয়েছে।”

“আমরা চাই আমাদের সকল মানুষ ইলিশ খাবে। ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত ইলিশ উৎপাদন হওয়ার পর আমরা চিন্তা করব বাণিজ্যিক ভাবে বিদেশে রপ্তানি করতে পারি কিনা। এই মুহুর্তে সেটা ভাবছিনা। তবে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের উৎপাদন ও সফলতা এমন জায়গায় আসবে সেদিন ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ অনেক মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে।”

সম্মেলিতভাবে যেসব এলাকায় ইলিশের মা বা জাটকা ধরার সম্ভাবনা রয়েছে সে সকল এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন,“আমাদের প্রায় ৫ লাখ লোক ইলিশ আহরণে সরাসরি নিয়োজিত এবং ২০ থেকে ২৫ লাখ  লোক ইলিশ পরিবহণ, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরি, বরফ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানি ইত্যাদি কাজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।”

“চলতি বছর ইতোমধ্যে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ সময়ের পূর্বেই দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ ৩৬ জেলার ১৫৩ উপজেলায় মোট ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৪২ টি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি হারে মোট ১০ হাজার ৫৬৭ মেট্রিক টন খাদ্য  সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন,“যদি দেখা যায় কেউ গোপনে চুরি করে বা বিকল্প উপায়ে ইলিশ ধরছে। তা সংরক্ষণ করতে হবে সেজন্য সেসব অঞ্চলের বরফকল বন্ধ করে দেওয়া হবে।”

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসস্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।