ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার বড় কারণ পর্নগ্রাফি: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পেছনে পর্নগ্রাফিকে বড় কারণ মেনে করছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2020, 11:58 AM
Updated : 11 Oct 2020, 11:59 AM

সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই অভিমত প্রকাশ করেন।

তথ্য প্রযুক্তির অবাধ দুনিয়ায় যে কোনো ক্ষেত্রে বিচরণ এখন অনেক সহজ হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, “ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমাদের কিশোররা-তরুণরা নানাভাবে পর্ন সাইট থেকে শুরু করে সব জায়গায় প্রবেশ করতে পারে। যদিও সরকার অনেকগুলো পর্ন সাইট বন্ধ করে রেখেছে, কিন্তু অন্য কোনো সাইটের মাধ্যমে সেগুলোতে ঢুকতে পারে।

“সেখানে অন্য বিনোদনের প্লাটফর্ম আছে, যা আমাদের দেশের মুল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক।

যেগুলো আমাদের ছেলে-মেয়েরা দেখে থাকে এবং সেগুলো দেখে আমাদের ছেলে-মেয়েরা প্রভাবিত হয়। আজকের এই ঘটনাগুলোর পেছনে এটা একটি বড় কারণ।”

ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আইন কঠোর করার দাবি উঠেছে। তা করার আশ্বাসও সরকারের কাছ থেকে এসেছে।

তবে আইন কঠোর করলেই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হবে না বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, “আমি মনে করি, আইন কঠোর করে বা আইন প্রয়োগ করে এটি থেকে মুক্ত করা সহজ কাজ নয়। এটির জন্য আমাদের মনোজগতের পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।”

অনুষ্ঠানে বিএনপিকে নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

“আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপি যখন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা বলছে, তখন তাদের দলের মধ্যে আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় পচা ডিম ছুড়েছে তাদের নেতাকর্মীরা। রিজভী আহমেদ কুড়িগ্রামে মিটিং করতে গেছে, সেখানে তাদের দুই পক্ষ মারামারি করে মিটিং পণ্ড করে দিয়েছে।”

“যারা নিজেদের দল সাসমলাতে পারে না। যারা নিজেদের কর্মীদের কাছে অপ্রিয়, তারা দেশের মানুষের কাছে কীভাবে প্রিয় হবে? তাদের এ সমস্ত বুলি হচ্ছে ফাঁকা বুলি,” বলেন তথ্যমন্ত্রী।

‘মনোনয়ন বাণিজ্যের’ কারণেই মির্জা ফখরুলের বাসায় ঢিল-ডিম ছোড়ার ঘটনা হতে পারে বলেও মনে করেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, “গত নির্বাচনে তিনশ আসনে নয়শ মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনও ঘটেনি, ভবিষ্যতেও ঘটবে কি না, সন্দেহ আছে।

“পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, প্রথমে যে টাকা দিয়েছে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল, পরে আরেকজন বেশি দেওয়ায় তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।”

চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ ‘আলোকিত সাংবাদিককে সম্মাননা’ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হাছান মাহমুদ।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ সভায় বক্তব্য রাখেন।