করোনাভাইরাস: সোয়া চার মাসের সর্বনিম্ন মৃত্যু

দেশে করোনাভাইরাসে এক দিনে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত ১৩৪ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2020, 09:34 AM
Updated : 9 Oct 2020, 09:48 AM

রোজার ঈদের পর গত ২৮ মে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর গত সাড়ে চার মসে দেড় মাসে প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২০ জনের বেশি।

শুক্রবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৫ হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হল।

আর সকাল ৮টা পর্যন্ত আরও ১ হাজার ২৭৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭০ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৫৯৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৯১২ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৫ অগাস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৬৫ লাখ পেরিয়ে গেছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১০ লাখ ৬২ হাজারের ঘরে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ষষ্ঠদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০৯টি ল্যাবে ১১ হাজার ২৫৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৯টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৭ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

 

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৯ জন, নারী ৮ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

১২ জন ঢাকা বিভাগের, ১ জন করে মোট ৩ জন চট্টগ্রাম, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের এবং ২ জন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৪৭৭ জনের মধ্যে ৪ হাজার ২২২ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ২৫৫ জন নারী।

তাদের মধ্যে ২ হাজার ৮০৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৪৭২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬৯৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩০৬ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১২৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে ২ হাজার ৭৭১ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ১০৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৫৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৪৭ জন খুলনা বিভাগের, ১৯৩ জন বরিশাল বিভাগের, ২৩৫ জন সিলেট বিভাগের, ২৫০ জন রংপুর বিভাগের এবং ১১৫ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

পুরনো খবর