এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর বিচারপতি মো. মজিবুর মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রাতে এ আদেশ দেয়।
উচ্চ আদালতের এ আদেশ জানার পর সঙ্গে সঙ্গে বরিশালের সংশ্লিষ্ট বিচারক চার শিশুকে জামিন দেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
পরে যশোরের জেলা প্রশাসকক তাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাসে করে অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ রাতেই সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বরিশালের শিশু আদালতের বিচারক, জেলা প্রশাসক, বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, মুখ্য বিচারিক হাকিম, সংশ্লিষ্ট জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমদের ও বাকেরগঞ্জ থানার ওসিকে টেলিফোনে জানান।
সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “ওই চার শিশু ও তাদের অভিভাবকসহ আগামী ১১ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে স্বশরীরে হাই কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠ বরিশালের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এনায়েত উল্লাহকে ওই দিন হাই কোর্টে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ধর্ষণের শিকার শিশুর মেডিকেল প্রতিবেদন ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে হাই কোর্টে পাঠাতে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর বাকেরগঞ্জে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা শিশুটির খেলার সাথী। গত ৪ অক্টোবর বিকেলে বাগানে খেলার সময় তাকে তিন আসামির সহযোগিতায় এক আসামি ধর্ষণ করে।
আসামিদের একজনের বয়স ১১ বছর এবং বাকি তিনজনের বয়স ১০ বছর দেখানো হয়েছে মামলায়।
পরে গত বুধবার বিকালে চার শিশুকে বাকেরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এরপর বিচারক চার শিশুকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।