কুয়েত সফর করে আসা মোমেন বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন।
তিনি বলেন, “তারা এটাকে লোকাল ইস্যু হিসাবে, লোকাল একজন ক্রিমিনাল হিসাবে ট্রিট করছে। বাংলাদেশি হিসাবে নয়। কারণ উনার রেসিডেন্স কার্ড না কি জানি আছে। দে হ্যাভ বিন ট্রিটিং হিম অ্যাজ লোকাল ক্রিমিনাল।”
লক্ষ্মীপুরের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে বিচার চলছে কুয়েতে। তিনি এখন সেখানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
পাপুলকে নিয়ে সফরে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে মোমেন বলেন, “এটা একটা ক্রিমিনাল কেস। ব্যক্তিবিশেষের বিচার হচ্ছে। উনি ওখানে কূটনৈতিক ভিসায় যাননি। উনি বা উনার পরিবার কেউ মিনিস্ট্রি থেকে পাসপোর্টও সংগ্রহ করেননি।
“স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী হিসাবে উনাকে গ্রেপ্তার করেছে, উনাকে শাস্তি দিবে। এ নিয়ে তারা আমাদের সাথে কোনো আলাপও করেনি, আমরাও তুলিনি।”
বাংলাদেশি আইন প্রণেতার এভাবে জড়িয়ে পড়াকে কুয়েত কীভাবে বিবেচনা করছে- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “ওদের পত্রিকাগুলো হয়ত বিভিন্নভাবে বাংলাদেশি এমপি হওয়ার বিষয়টি নিয়ে লিখছে।
“তবে, সরকারিভাবে কেবল একজন ক্রিমিনাল হিসাবে ট্রিট করা হচ্ছে তাকে। এ কারণে আমাদের সঙ্গে আলাপে বিষয়টি তোলেনি।”
পাপুলকাণ্ডে বাংলাদেশিদের শ্রমবাজারে প্রভাব পড়বে কি না- এ প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যেটা আমি শুনেছি, আমাদের অফিসিয়ালদের সঙ্গে আলাপে, উনি অনেককে চাকরি দিয়েছেন, ওখানে কুয়েতি কিছু দুষ্টুলোককে ঘুষটুস দিয়ে চাকরি দিয়েছিলেন।
“এখন ওরা খুঁজে খুঁজে বের করতেছে, উনার এ প্রক্রিয়ায় কেউ চাকরি নিয়েছে কি না, মনিটর করছে। ভালো হলে রাখছে, অন্য রকম হলে বের করে দিচ্ছে। সুতরাং আমাদের কিছু লোকের চাকরি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।”
আরও পড়ুন