রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সভাপতিত্বে দুর্গাপূজার মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহামারীর কারণে এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা ‘যথাসম্ভব সীমিত’ রাখতে হবে এবং দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় কোনো শোভাযাত্রা করা যাবে না।
সেইসঙ্গে মণ্ডপে প্রবেশের সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে মেনে চলতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূজা মণ্ডপে জনসমাগম কম রাখতে অঞ্জলি প্রদান অনুষ্ঠান টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারের জন্য পূজা উদযাপন কমিটি ব্যবস্থা নিতে পারে।
মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তায় সরকারের তরফ থেকে যথেষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে মোতায়েন করা বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সভাপতি কাজল দেবনাথ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অন্যান্য বছর দশমীর দিন বিকালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শতাধিক প্রতিমা জড়ো করা হত। তারপর শোভাযাত্রা করে বিসর্জন দেওয়া হত।
“এ বছর আমরা মহামারীর কারণে সে শোভাযাত্রা করছি না। সবাই আলাদা আলাদাভাবে প্রতিমা বিসর্জন দেবেন। তাছাড়া সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট আকারে পূজা করার অনুরোধ করছি।”
এ বছর ২২ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজা শুরু হবে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
এ বছর ঢাকা মহানগরে ২৩৭টি এবং সারাদেশে অন্তত ২৯ হাজার ৯৭৪টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা হবে বলে কাজল দেবনাথ জানিয়েছেন।